প্রতি বছর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশে কিছু দিবস পালিত হয়। ওই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সমস্ত দিবস পালিত হয়। পালনীয় সেই সমস্ত দিবস গুলির মধ্যে একটি হল শিশু দিবস (Children’s Day)।
প্রতি বছর সারা ভারতবর্ষে ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। জওহরলাল নেহরু শিশুমহলে ভীষণই জনপ্রিয় ছিলেন। শিশুদের মধ্যে তিনি ‘চাচা নেহেরু’ নামে বিখ্যাত ছিলেন। নেহেরু মনে করতেন শিশুরাই জাতির আসল শক্তি এবং সমাজের মূল ভিত্তি। তিনি শিশুদের পড়াশুনা সম্পূর্ণ করার পক্ষেও সমর্থন জানিয়েছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। সেই কারণেই ভারতবর্ষে তাঁর জন্মদিনটিকেই শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন ১৪ই নভেম্বর দিনটিকেই ভারতে শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে।
প্রত্যেক শিশুর মন একটি অলিখিত সাদা কাগজের মতো, তাকে যেমন শিক্ষা দেওয়া হবে সে তেমনভাবেই গড়ে উঠবে। শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ, সুতরাং তাদেরকে অবহেলা করা, তাদের প্রতি অমনোযোগী হওয়ার অর্থ আসলে দেশের ভবিষ্যৎকেই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া। সুতরাং শৈশব থেকেই শিশুকে উপযুক্ত শিক্ষাদান এবং তাকে সুস্থ স্বাভাবিক একটি জীবনের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আরও যা-কিছু করণীয় সেগুলি যথাযথভাবে গুরুত্ব সহকারে পালন করা উচিত। সেই কারণে শিশুদের অধিকার, যত্নসহকারে তার দেখাশোনা এবং অবশ্যই তার উপযুক্ত শিক্ষা বিষয়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করে তোলবার উদ্দেশ্যেই বিশেষ মর্যাদা সহকারে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।