নিজস্ব সংবাদদাতা: বাঁকুড়ার সোনামুখীতে বিজেপির সভার পর পরই তৃণমূলের পাল্টা সভার প্রস্তুতিকে ঘিরে সরগরম রাজনীতি। যদিও তৃনমূলের দাবি এটা তাদের রুটিন মাফিক সভা। অপরদিকে বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূল বিজেপির সংগঠনকে টুকলি করে চালাচ্ছে, অনেকটাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মতো।
শুক্রবার বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর নিত্যানন্দপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সদস্য তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি ড. সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে জেলা পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন করা হয়েছিল। তাতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক। সেই সভা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতারাতি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অলোক মুখার্জি মাঠ পরিদর্শন করেন এবং সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান আগামী ২৭ নভেম্বর রবিবার এই একই ময়দানে অর্থাৎ সোনামুখীর নিত্যানন্দপুরে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন হবে, আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী, থাকছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদিকা তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি এবং থাকছেন সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
তবে তৃণমূল মানতে চাইছেন না, এটা বিজেপির পাল্টা সভা, তারা জানাচ্ছেন এটা তাদের রুটিন মাফিক সভা হচ্ছে, আর মিঠুনের জনসভায় রাজনৈতিক ভাবে কোন লোক হয়নি। মানুষ এসেছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখার জন্য। সোনামুখীতে বিজেপির কোনো সংগঠনই নেই ।
অন্যদিকে তৃণমূলের সভাকে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপির দাবি তৃণমূল কংগ্রেস টুকলি করে চলে এটাই ওদের কাজ। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির সভা করবে সেখানেই এক দু দিনের মধ্যে ওদের সভা করতে হবে। একদিকে যেমন কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলিকে টুকলি করে চালাচ্ছে অন্যদিকে আমাদের সংগঠনকেও টুকলি করে চালাচ্ছে । বিজেপি নেতৃত্ব আরো বলেন শুক্রবারের সভা দেখে প্রত্যেকটি তৃণমূল নেতার বুক কেঁপে গেছে। পশ্চিমবঙ্গকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য মানুষ কাতারে কাতারে বিজেপির সভায় যোগদান করেছে, তবে আগামী দিনে তৃণমূলের সভায় থাকবে আশা কর্মী গ্রুপ ডি কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের চাপ দিয়ে এনেও ওই সভাস্থলের মাঠ অর্ধেক ভরাতে পারবে না ।
সবমিলিয়ে সোনামুখী নিত্যানন্দপুরে বিজেপির সভা এবং তৃণমূলের সভা নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বেই বাঁকুড়ার রাজনৈতিক পারদ চড়চড় করে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ।
