Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

নিজস্ব সংবাদদাতা: চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকা যুবকের মৃতদেহ অবশেষে উদ্ধার হল গ্রাম লাগোয়া পুকুর থেকে। যুবকটিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনা বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার মার্খা গ্রামের। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা সত্বেও পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করেনি এই অভিযোগ তুলে আজ মার্খার মোড়ে বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার মার্খা গ্রামের বছর বাইশের যুবক সুমন দে গত ২২ নভেম্বর রাতে নিজেদের একটি পোল্ট্রি ফার্মে শুতে যান। পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন দেখেন পোল্ট্রি ফার্মের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। সুমন পোল্ট্রি ফার্মের ভেতর না থাকায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। আশপাশের এলাকা তন্নতন্ন করে খুঁজেও সুমনের খোঁজ না পেয়ে ওইদিনই বেলিয়াতোড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকজন। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ তদন্তে টালবাহানা করতে থাকে বলে অভিযোগ। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে থানায় জানতে গেলে সেক্ষেত্রেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে পরিবারের দাবী। আজ ২৬ নভেম্বর সকালে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করতেই বাড়ির দেড়শো মিটার দূরে থাকা একটি পুকুরে সুমনের দেহ দেখতে পায় পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এদিকে এই ঘটনাটিকে খুনের ঘটনা দাবি করে মৃতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলাতির অভিযোগ তুলে সরব হয়। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা পুলিশের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে মার্খা মোড়ে বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মৃতের বাবার দাবি ছেলের গ্রামেরই একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁর সন্দেহ ছেলেকে খুনের পিছনে মেয়েটির পরিবারের যোগ থাকতে পারে। মৃতের পরিবার অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশি আশ্বাসে উঠে যায় অবরোধ। প্রচন্ড উত্তেজিত জনতা পুলিশি আশ্বাসে রাস্তা অবরোধ তুলে নিলেও হামলা চালায় মৃত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা মেয়েটির বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয়, মনিহারী দোকান, ঘর বাড়ি, একটি চারচাকা গাড়ি ও একটি বাইক।তছনছ করা হয় গোটা বাড়ি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও প্রথমে ব্যর্থ হয়।পরে ডি এস পি ডি এন টির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্াপ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে মেতায়েধ রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভাঙচুর হওয়া ঘরের লোকজন। তাদের দাবি তারা ঘটনার দিন ছিলেন না গ্রামে। একটি বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বাইরে গিয়েছিলেন। তারপরও তাদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে ভাঙচুর করা হলো।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.