Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

দেবজ্যোতি চ্যাটার্জী : প্রথমেই কয়েকটা ম্যাচ-এর ফলাফলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক:-
সৌদি আরব vs আর্জেন্টিনা- জয়ী:সৌদি আরব
জাপান vs জার্মানি – জয়ী:জাপান
তিউনিসিয়া vs ফ্রান্স- জয়ী: তিউনিসিয়া
জাপান vs স্পেন- জয়ী:জাপান

না, কোনো পরিসংখ্যানের কচকচানি নয়। এই লেখার মূলভিত্তি হল আবেগ।
এ যেন কোনো বিশ্বকাপ নয়, “বিস্ময়” কাপ! একসাথে এতোগুলো “অঘটন” সাম্প্রতিক অতীতে অন্য কোনো বিশ্বকাপ এ হয়েছে কিনা মনে পড়ছে না। ফুটবল বিশ্বের তথাকথিত সুপারপাওয়ারদের তাদের থেকে কৌলিন্যে কয়েক যোজন পিছিয়ে থাকা দলগুলোর কাছে পর্যুদস্ত হবার ঘটনায় ‘আত্মবিশ্বাস’ ও ‘আত্মতুষ্টি’-র মধ্যে যে অতীব সূক্ষ বিভাজন রেখা আছে তা-ই যেন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।

সর্বোপরি, ফুটবল বিশ্বে ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর একাধিপত্যে এবার ভাগ বসিয়েছে এশিয়া। এশীয় ফুটবলের জয়ধ্বজা ওড়াচ্ছে জাপান, সৌদি আরব এর মতো দেশ। যারা ফুটবল বিশ্বের ঠিক কুলীন গোত্রে পড়ে না। আর এখানেই মনের কোনের অন্ধকারে এক চিলতে সোনালী রোদ্দুর এসে উঁকি দিচ্ছে। আভাস দিচ্ছে এক সোনালী ভবিষ্যতের। যেখানে ফুটবল বিশ্বে এশীয় ফুটবলের ধ্বজাবাহক হবে আমাদের #ভারতবর্ষ 🇮🇳। ক্রমে হয়ে উঠবে ফুটবল বিশ্বের সুপারপাওয়ার। হয়তো অদূর ভবিষ্যতেই ফুটবল বিশ্বকাপ মাতাতে দেখবো ভারতীয় ফুটবলারদের। সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধু, সন্দেশ ঝিঙ্গান- দের উত্তরসূরিদের “ভাইকিং ক্ল্যাপ” সেলিব্রেশন এর সাথে মেতে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল। অবশ্যই তার
জন্য প্রয়োজন ঠিকঠাক পরিকাঠামো ও রোডম্যাপ। সর্বোপরি ভারতীয়দের উজাড় করা সমর্থন। কিন্তু ততদিন সেই সোনালী সম্ভবনার স্বপ্ন দেখতেই বা দোষ কোথায়? স্বপ্ন দেখতে জানলে একদিন সেটা ঠিক সত্যি হবে। হবেই।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.