শুভদীপ জালাল,গোঘাট:রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রয়োজনে আবার ছুটির দিনেও জরুরি কাজ সারতে অফিসে হাজির হতে হয়। তবে একটাই প্রশান্তি তাঁর- প্রশাসনের তৃনমূল স্তরে একটা স্তম্ভ হয়ে কাজ করে চলেছেন। তিনি হলেন মনোরঞ্জন সাঁতরা ।যিনি বর্তমানে গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত আছেন।
পঞ্চায়েত কর্মচারী হিসেবে তিনি যোগদান করেন ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে।পরের বছর আবার তিনি প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন।গ্রাম উন্নয়নের কাজে তাঁর উৎসাহ থাকায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগদান করেন নি। শিক্ষকের চাকরিতে যোগদান না করায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। এমন ঝঞ্ঝাট বিহীন পেশার চাকরিতে যোগদানের পরিবর্তে রাজনীতির আঙিনায় চাকরি বেছে নেওয়ায়। তবে যিনি তাঁকে গ্রাম উন্নয়নের কাজে আকৃষ্ট করেছিলেন তিনি হলেন তৎকালীন গোঘাট ২ নং ব্লকের বিডিও অভিজিৎ লাটুয়া।যিনি পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সচিবালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকও ছিলেন।এই অভিজিৎ বাবুর অনুপ্রেরণায় আজও তিনি গ্রামে গ্রামে ছুটে চলেছেন মানুষের পরিষেবা পৌঁছে দিতে। মনোরঞ্জনবাবু জানান,আমি শিক্ষকদের প্রতি যথেষ্টই শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের যেভাবে সমাজে মূল্যায়ন করা হচ্ছে তাতে অনেকটাই স্বস্তিতে আছি আমি।
