নিজস্ব প্রতিবেদক,গোঘাট:এক সময় গোঘাট ছিল লাল দুর্গের ঘাটি। তাদের রাজত্বে বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খেত। প্রতিবাদ করলেই চলত ধমকানি, চমকানি। তাতেও শায়েস্তা না হলে আইনি হেনস্তা করা হতো। সেই লাল মাটির, লালদুর্গে এখন সবুজের আস্তারন । গোঘাট ১ নং ব্লকের গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ আজও তৃণমূলকে ভরসা করে। নেতৃত্বের দাবি, সবটাই সম্ভব হয়েছে মানুষের সঙ্গে আন্তরিক যোগাযোগ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকার জন্যই। বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে, ঢালাই রাস্তাঘাট তৈরি, সু-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি,পাকা ড্রেন তৈরি,পাকা ঘাট তৈরি,শ্মশান সেড নির্মান এরকম একগুচ্ছ উন্নয়নকে সামনে রেখেই এলাকায় ভোট প্রচারে নামছে শাসকদল। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, পঞ্চায়েত কাগজে কলমে উন্নয়ন করেছে। মানুষ এখনও নানা সমস্যায় ভুগছে।
গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল ১৭টি আসনেই জয়লাভ করে।এবার এই পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। প্রধান পদটি এবারও মহিলা সংরক্ষিত। আগের বারের মতো এই টার্মেও পঞ্চায়েতে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও কিছু বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছয়নি। তবে পিএইচই দপ্তরের তরফে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে পঞ্চায়েতের সব গ্রাম পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাবে বলে দাবি পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসি অধ্যুষিত এলাকায় ১০০ শতাংশ ঢালাই রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকি গ্রামগুলিতে যে সমস্ত রাস্তায় ঢালায়ের কাজ বাকি । সেই সব রাস্তা আগামী দিনে তৈরি করা হবে। এলাকার শাসক নেতাদের অভিমত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শাসক তথা তৃনমূল কংগ্রেসকেই পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে।