নিজস্ব সংবাদদাতা: তলে তলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরিতেও ভাগ বসিয়ে ছিলেন সদ্য চাকরি খোয়ানো দাপুটে তৃনমূল নেতা তথা হরিনখোলা ১ পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টু খান। তিনি খানাকুল থানার কিশোরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়ালে ময়াল হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছিলেন এটা জানা গেলো আদালতের নির্দেশে ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর! যদিও তিনি মিডিয়ার কাছে সাফাই দিয়েছেন তিনি চাকরি করলেও কখনও মাস মাহিনা নেননি। সঙ্গে যোগ করেছেন হরিনখোলা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবেও তিনি আজ পর্যন্ত কখনো স্যালারি নেননি। অথচ কোনো একটা জায়গা থেকে তিনি নিয়মানুযায়ী স্যালারি নিতেই পারতেন। যেহেতু বিষয়টা বিচারাধীন রয়েছে তাই সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে তিনি এর বেশি কিছু বলবেন না।
ভুয়ো গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের লিস্টে আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টু খান এর নাম প্রকাশ্যে আসার পর আরামবাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে আরামবাগ তৃনমূলের অন্দরে আরও কি কি ঘাপলা লুকিয়ে রয়েছে সে নিয়ে।
এই অঞ্চল প্রধান আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টু খান যাকে আব্দুল আজিজ খান নামে হাতে গোনা কয়েকজন হয়তো বা জানেন, সবাই লাল্টু খান বলেই চেনেন। শুধু দাপুটে তৃনমূল নেতা নয়, তার নামে হরিনখোলা জুড়ে নাকি বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খায়। এলাকার তৃনমূলের হেবি ওয়েট তৃণমূল নেতারাও নাকি তার প্রভাবকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে,তাই শত অপরাধ মাপ হয়ে যায় — এমন কথা এলাকায় একটি শিশুও জানে, কিন্তু মুখ খুলতে সাহস পায় না, তৃনমূলেরই অন্দরে এই অবস্থা, বিরোধী দল তো কোন ছার। নিন্দুকেরা আরও যোগ করেছেন সঠিক ভাবে তদন্ত হলে আরামবাগে তৃনমূলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনো নেতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। আরামবাগ তৃনমূলের এখন যত নেতা তত গোষ্ঠী। আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টু খান এর চাকরির বিষয়টা বেরিয়ে আসতেই দলের অপর গোষ্ঠীর মধ্যে যেন প্রচ্ছন্ন ভাবে খুশির আমেজ। নাম গোপন করে রাখার শর্তে জানান সিবিআই, ইডি আরামবাগে এখনও কেন জাল ফেলছে না, কয়েকজন রাঘব বোয়াল জালে পড়লেই অন্তত আরামবাগ মহকুমায় তৃণমূল দলটার শুদ্ধিকরণ হয়ে যাবে। যে যাই বলুক জানা গেছে শাহিদ ইমাম জালে পড়ার পর পরই আরামবাগ এখন নাকি সিবিআই, ইডির পাখির চোখ।
