Arambagh Times
কাউকে ছাড়ে না

বিশেষ প্রতিবেদন: আপাতত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারির আর প্রাইমারি স্কুলে পড়ানো হলো না। সরকারের শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাঁকুড়া পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারিকে ও জেলা শাসক রাধিকা কে আইয়ার কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে এসব বন্ধ করতে, অনুমোদন নেয়ার জন্য আগে আবেদন করতে হবে। তাই কি! নাকি বিরোধী দল নেতার চাপেই এই সিদ্ধান্ত?
অবশ্য এখানেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন তিনি নাকি জানতেন না। তিনি মন্ত্রী হলে হবে কি, নির্দিষ্ট দপ্তরের কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলেই তিনি কিন্তু কিছুই জানতেন না। আচ্ছা, একজন পুলিশ সুপার যিনি মেমো নং ও নিজের সই সহ জেলা শাসককে এলাকার কতগুলো প্রাইমারি স্কুলে সিভিক ভলেন্টিয়াররা ইংরাজি,অঙ্ক পড়াবেন সেটা জানাচ্ছেন, কপি ফরোয়ার্ড করে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল ইন্সপেক্টরের কাছে প্রেরণ করছেন, এই পড়ানোর সিস্টেম এর নাম দিচ্ছেন অঙ্কুর, আর এসবও সরকারের অগোচরে হয়েছে? এটা বিশ্বাস করবে কেউ! আমরা আগেও বলেছিলাম এটা পুলিশ সুপারের দায় নয়, এসব ভাবতে ভাবতেই হলে তার জন্য শিক্ষা দপ্তর তো আছেই, আর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজ কেন নিজের দপ্তরের কাজের ফাঁকে বা অবসরে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো হবে? এই রাজ্য কী আদৌ সম্পুর্ন পিস ফুল? পুলিশের আর কোনো কাজ নেই!! নাকি সবই ওপরেরই খেল, উদ্দ্যেশ্য অন্য কিছু ছিল?

চোখ এড়ায়নি বিরোধী দল নেতারও। সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে। নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হলো সরকার। অবশ্য এরা ভাঙলেও মচকায়না। যাক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়েই শিক্ষকতার স্বপ্ন বন্ধ করানো হলো।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published.