নিজস্ব সংবাদদাতা, দুবরাজপুর: তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উওপ্ত বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় তৃনমুলের দুটি গোষ্ঠী, একটি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল এবং অপর একটি কার্যকরী সভাপতি তরুন গড়াই এর গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুবরাজপুর ব্লক থেকে গ্রামে সার্ভে করতে যান ব্লক আধিকারিকরা। তারপর তাঁরা মুকুল গোষ্ঠীর বুথ সভাপতি গাফফার খানের বাড়ীর পাশে সার্ভে করছিলেন ব্লক আধিকারিকরা। তখন তরুন গড়াই গোষ্ঠির লোকেরা জিজ্ঞাসা করতে যান তাঁদের পাড়ায় কখন সার্ভে হবে। তারপর শুরু হয়ে যায় বচসা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়ে যায় গুলি ও বোমাবাজি।
এই ঘটনায় তরুন গড়াই গোষ্ঠির ৬ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সহসভাপতি তিনি জানান “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে বিজেপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বলছে কিন্তু এটা আদতে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয় সব সময় কিছু দুষ্কৃতিকারী থাকে যারা ছোটখাটো স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দলগতভাবে প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং প্রশাসনকে কড়া হাতে মোকাবিলা করার জন্য বলা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়”। দুবরাজপুর বিধানসভার
বিজেপির বিধায়ক অনুপ সাহা জানান , আজকে পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা শুধু বীরভূম জেলা নয় সারা পশ্চিমবঙ্গ কে কলঙ্কিত করেছে। আজকে বীরভূম জেলাতে তৃণমূলের যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তার ফলে বোমা থেকে গুলি ইট সমস্ত রকমের সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ দেখা গেলো, শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকবো আর সমাজে সন্ত্রাস এবং ভয়ের বাতাবরণ করে রাখব এধরনের একটা প্রচেষ্টা সবসময় করেছে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণই হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা তারা যেভাবে বিগত দিনে দুর্নীতি করেছে একইভাবে প্রত্যেকটা পঞ্চায়েত এবং পৌরসভাতে ব্যাপক ভাবে দুর্নীতি করার যে প্রচেষ্টা আর এই দুর্নীতির জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন ইতিমধ্যে সংঘর্ষে জড়িত থাকার কারণে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
