নিজস্ব সংবাদদাতা: আবারও শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। আরামবাগের এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে উঠতে না পেরে লক্ষীর ভান্ডারে নাম নথিভুক্ত করতে না পারা মহিলারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরী করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। একটাই প্রত্যাষায়, লক্ষীর ভান্ডার। ৫০০ ও ১০০০ টাকা মাসে নিয়মিত যারা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানালেন, সবই তো জনগণের করের টাকায় দেওয়া হয়, লক্ষীর ভান্ডারের টাকাও সেই করের টাকা থেকেই দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এতদিন তো তাদের সামান্য এই টাকার জন্যও বাড়ীতে স্বামী, সন্তানের, দাদা, ভায়ের কাছে হাত পাততে হতো। এখন তারা নিজেদের কিছু কিছু প্রয়োজনে অন্তত এই টাকা কাজে লাগাতে পারছেন। অনেকে মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন যে, এস সি এস টি মাত্রেই যেমন সবাই দুঃস্থ নন, তেমনই জেনারেল কাস্ট মানেই সবাই ধনী নন। লক্ষীর ভান্ডারে কি ভাবে বৈষম্য হতে পারে। হয় সকলকেই ১০০০ টাকা দেওয়া হোক,অথবা সবাইকেই ৫০০ টাকা করে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বর্তমানে ধনী নির্ধন বিবেচনা না করে ছাত্রীদের কন্যাশ্রী দিচ্ছেন সেভাবেই লক্ষীর ভান্ডারেও বৈষম্য দূর করা সম্ভব কিনা বিবেচনা করা হোক।