সুচিন্ত গোস্বামী: অল্পেতে খুশী হবে/দামোদর শেঠ কি!/মুড়কির মোয়া চাই,/চাই ভাজা ভেটকি। না। রবী ঠাকুরের দামোদর শেঠের মতো মুড়কির মোয়া, ভাজা ভেটকি, ঘি, বোয়ালের পেট, কাঁকড়ার ডিম ইত্যাদি কিছুই চাইনা এই মানুষটির। কারণ দামোদর শেঠের মতো কলেবর নয়, আর ওজনও তিন মন নয়। ছিপছিপে লম্বা চেহারার এই মানুষটি একটা সব্জী, এক টুকরো মাছ হলেই অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারেন প্রায় দু’কেজি ওজনের চালের ভাত। আর তিনি খেয়ে ও তাঁকে খাইয়ে তৃপ্ত তিনি নিজে থেকে হোটেল মালিক সকলেই।
ধান ভানতে শীবের গীত হয়ে গেল কি? তা যদি হয়ে যায় তাহলে এবার সব ভনিতা ছেড়ে আসল কথায় আসি। হীড়বাঁধের পড়্যারডাঙ্গা গ্রামের দুলাল চন্দ্র মুর্ম্মু। পেশায় খাতড়া মহকুমা আদালতের মুহুরী। প্রতিদিন বাড়ি থেকে ১৬ কিমি সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে আসেন তিনি। কাজের ফাঁকেই এস.ডি.ও মোড়ের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খান তিনি। এই হোটেলে মাত্র ৫০ টাকাতেই পেট ভর্তি খাবার মেলে। কিন্তু দুলাল বাবু একাই এক কেজির বেশী চালের ভাত খান। মাত্র ৫০ টাকায় ওনাকে খাইয়ে ৩০ টাকার মতো লোকসান হলেও খুশী হোটেল মালিক। তিনি বলেন, এখন মানুষ খুব বেশী খেতেই চায়না। উনি খান। লোকসান হলেও ওঁকে খাইয়ে আমরা আনন্দ পাই।
দুলাল চন্দ্র মুর্ম্মুর এক সহকর্মী, আইনজীবি সাগেন মুর্ম্মু বলেন, ওনার খাওয়ার সাক্ষী আমরা দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে ৩০ টি নান, ১ কেজি খাসি মাংস, ৫০ টির মতো রসগোল্লা খেয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এতো খাওয়া কিন্তু মেদহীন চেহারার রহস্য কি? এই প্রশ্নের উত্তরে দুলাল বাবু বলেন, শারিরীক পরিশ্রম করি। সেকারণেই কোন সমস্যা হয়না। তবে বাড়িতে ২ কেজি চালের ভাত খেলেও হোটেল মালিকের মুখ চেয়ে মাত্র ১ কেজি চালের ভাত খেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন বলে জানান।